“নারায়ণগঞ্জ শহর আমার বাড়ি, সচেতন হই পরিষ্কার রাখি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ময়লা-আবর্জনা নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে এবার উদ্যোগী হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন এক হাজার টন ময়লা হয়, যা পাঁচ বছর পর ২-৩ হাজার টনে দাঁড়াবে।
এখনই কার্যকর সিদ্ধান্ত না নিলে ভবিষ্যতে শহরজুড়ে ময়লার স্তূপ তৈরি হবে। তিনি পরিবেশ দূষণ রোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বলেন, এই কাজ কঠিন হলেও সমালোচনার ভয় না করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শহরকে নিজের বাড়ি মনে করলে এর পরিবেশ পরিষ্কার রাখা সম্ভব।
সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব নূর কুতুব আলম জানান, শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এখনো কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই, তবে কল্যাণী খাল পরিষ্কার করে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাশেদ অভিযোগ করেন, ফতুল্লার অনেক কারখানা ইটিপি (ঊভভষঁবহঃ ঞৎবধঃসবহঃ চষধহঃ) ছাড়াই চলছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তিনি নাগরিকদের পাশাপাশি মার্কেটগুলোকেও বর্জ্য অপসারণে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি এবং জেলা দোকান মালিক সমিতির সেক্রেটারি শাহেদ শাহীন উভয়েই অভিযোগ করেন যে, মার্কেটের সামনে পরিষ্কার রাখা হলেও ফুটপাতের হকাররা ময়লা ছড়িয়ে ফেলছে, এবং বারবার বলা সত্ত্বেও তারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলছে না।
সভায় ইউনিয়নভিত্তিক ডাস্টবিন স্থাপন, ময়লার স্তূপ কমানো এবং ভ্যানের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহের মতো একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হোসাইনের সঞ্চালনায় এই সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।