বন্দর প্রতিনিধি: অবশেষে বন্দরবাসীর সুবিধার্থে বন্ধ করে দেয়া হলো শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ে বার্তীং চার্জের নামে বিএনপি নেতা মোস্তাকের চাঁদাবাজি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশার নির্দেশে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা বন্দর ১নং খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে প্রশংসায় ভাসছেন আবুল কাউছার আশা।
এর আগেও কয়েকবার বিএনপি নেতা মোস্তাকের চাঁদাবাজি বন্ধে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা হস্তক্ষেপ করেও বন্ধ করে পারেনি।
পরবর্তীতে বন্দর উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও চাঁদাবাজি বন্ধে কোন প্রতিক্রিয়া পাননি বরং দেদার্সে বার্তীং এর নামে চাঁদাবাজি চালিয়ে গেছে। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর সকালেও চাঁদাবাজি করতে গেলে আবুল কাউছার আশার নির্দেশে তাঁর কর্মী সমর্থকরা বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার আমলেও বার্তীং এর নামে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারেনি। কিন্তু স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর পূনরায় বিএনপি নেতা মোস্তাক দীর্ঘ ১ মাস ধরে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি শুরু করে।
এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিএনপির নেতারও নিশ্চুপ ছিল অথচ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এডভোকেট আবুল কালামের পুত্র আবুল কাউছার আশা বন্দরবাসীর সুবিধার্থে চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধের কারণে প্রশাংসায় ভাসছেন তিনি।
এ বিষয়ে আবুল কাউছার আশা বলেন, বন্দরবাসী সব সময় অবহেলিত, এর আগেও বন্দর ১নং সেল্টার খেয়াঘাটে নৌকাপাড়া পারে অতিরিক্ত ২ টাকা টোল নির্ধারিত করা হয়েছিল, সংসদীয় আসনকে সোনারগাঁও এর সাথে অন্তরভূক্ত করা হয়েছিল কিন্তু বন্দরবাসী এক যুগে প্রতিবাদ করায় তা বন্ধ হয়।
এভাবেই প্রতিনিয়তই বন্দরবাসীকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একটি চক্র। আমি চাই সব সময় বন্দরবাসীকে পাশে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেল করে যেতে পারি।