বন্দর প্রতিনিধি : সম্প্রতি বন্দর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে টানা তিন দিনের সংঘর্ষে ডাবল মার্ডারের ঘটনার পর আবারও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে বন্দর সহ জেলা জুড়ে সমালোচনা জন্ম দিয়েছে, বির্তকিত করেছে বিএনপিকেও।
তবে এমন ঘটনা প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের অটো স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে যুবদল নেতা পরিচয় দেয়া কাজী সোহাগ প্রকাশ্যে পিস্তল উচিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের হলেও কাজী সোহাগকে গ্রেপ্তার বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কোন তৎপরতা দেখায়নি বন্দর থানার পুলিশ।
জানা গেছে, অবৈধ অস্ত্রধারী কাজী সোহাগকে প্রথম জোসেফ পরে মহানগর বিএনপি আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন শীর্ষ নেতারা। পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ ছাড়াও তাকে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের পাশে দেখা গেছে।
সেখানে অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিতে দেখা গেছে এবং মাজহারুল ইসলাম জোসেফের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি এই কাজী সোহাগ কে।
এদিকে ৫ আগস্ট ওসমান পরিবারের দোসর নব্য বিএনপি নেতা মডেল মাসুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে বন্দরের চিহিৃত সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগ ওরফে ঘারব্যাকা সোহাগ। তিনি ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির পক্ষে নারায়ণগঞ্জে মডেল মাসুদের নিজ কার্যালয়ে গিয়ে এ ফুলেল অভ্যর্থনা জানান।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির কেউ না অস্ত্রধারী সোহাগ। মডেল মাসুদ ছিল আওয়ামীলীগের দোসর সেলিম ওসমানের লোক তাকে কেন ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
এছাড়াও বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন কাঠপট্টি এলাকায় একজন গ্যারেজ মালিককে গ্যারেজ ব্যবসা তাকে বুঝিয়ে দিতে হুমকি প্রদর্শন করে। অন্যথায় তাকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এই ঘটনায় ভোক্তভোগী ওই গ্যারেজ থানায় অভিযোগ করলেও কোনো মামলা গ্রহণ করা হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতা সোহাগ কর্তৃক ওই রিকশার গ্যারেজের মালিককে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ওই ভিডিওতে সোহাগকে বলতে শোনা যাচ্ছে গ্যারেজ মালিককে গ্যারেজ ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে। সেই সাথে তাকে বলা হচ্ছে আপনার ভাগ্য ভালো আপনি খান মাসুদের লোক হওয়ার পরও আপনাকে এখন পর্যন্ত কিছু বলিনাই। আপনাকে তো ইচ্ছা করলে এখনোই মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারি।
নারায়ণগঞ্জ আপডেট