ঢাকা | বঙ্গাব্দ

এমপি থাকা কালীন যত উন্নয়ন করেছি এখনো তা দৃশ্যমান, সেবা পাচ্ছে জনগণ : আবুল কালাম

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 15, 2025 ইং
এড. আবুল কালাম ছবির ক্যাপশন: এড. আবুল কালাম
বিএনপির সূচনালগ্ন থেকেই আমার পিতা হাজী জালালউদ্দিন এই দলের সাথে সম্পৃক্ত।

 স্বাধীনতার মহান ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ও তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। সে সময় নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালের ভূমি অধিগ্রহণ থেকে হাসপাতালের জন্য জায়গা সংগ্রহ করা,
নারায়ণগঞ্জ কলেজ, শহরের গণবিদ্যা নিকেতন, নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল ও জিয়া হল প্রতিষ্ঠা করা, এগুলো সব কিছুই আমার পিতা সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় হয়েছে।
 
তিন মেয়াদের মধ্যে দুটি পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে যেই ধরণের উন্নয়ন করেছি তা এখনো দৃশ্যমান, সেবা পাচ্ছে আমার নারায়ণগঞ্জের জনগণ 

কালাম বলেন,  আমার মেয়াদে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের বর্তমান ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি, এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করি। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার (বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন) জন্য আমার  মাধ্যমে সে সময় ৫ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করি। মহিলা কলেজের মাটি ভরাট করে দেয়াল নির্মাণসহ ছাত্রী পরিবহনের জন্য বাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

 আমি এমপি থাকাকালীন সময় বন্দরের মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কটি পাকা করে যাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বন্দরে কোন কলেজ ছিল না, কদম রসুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। আমি কদম রসুল পৌরসভা তৈরি করার কারণেই আজকে এখানে সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয় হয়েছে।

 বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি করতে চাইলে জায়গা না পাওয়ায় নিজস্ব জায়গার উপরে এবং আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে জায়গা নিয়ে এটা নির্মাণ করি। 

বন্দরের বিভিন্ন অঞ্চলে আমরা তিতাস গ্যাসের লাইন স্থাপন করেছি। বন্দরে আমরাই প্রথম ডিপ পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে পানির সমস্যা লাগবের চেষ্টা করি।
 
তিনি আরো বলেন, আমার দুই বারের মেয়াদে আমরা যতটুকু কাজ করেছি সবগুলোই ছিল বড় বড় কাজ। এগুলো করার ফাঁকে ফাঁকে আমি শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দিয়ে সেতু নির্মাণের বিষয়টিও দলীয় প্রধানের সাথে আলাপ করে কাজ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলাম। 

এমনকি ২০০৬ সালে আমাদের দলীয় চেয়ার পার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ে নিজে এসে হাজীগঞ্জ এলাকায় হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করেছিলেন।

 নদীর পশ্চিম পারে হাজীগঞ্জ সড়কের সাথে লিংক রোড ও নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাংরোড ব্যবহারের সাথে সংযোগ হতো এবং পশ্চিম পারে গ্র্যান্ডট্র্যাঙ্ক রোড ধরে একদিক দিয়ে কাইকারটেক হয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা দিয়ে কুমিল্লা চিটাগাংয়ের সাথে সংযোগ হতো অপরদিকে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের সাথে সংযোগ হতো।

 এর ফলে নারায়ণগঞ্জ শহর ও কাঁচপুরের উপর চাপ অনেকাংশেই কমে যেতো। সে সময় যদি আমরা আর একটি মেয়াদও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম তাহলে বন্দরবাসী এতদিনে সেই স্বপ্নের সেতু দিয়ে এতদিনে যাতায়াত করতে পারতো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : নারায়ণগঞ্জ আপডেট

কমেন্ট বক্স